আশুগঞ্জ সারা বাংলাদেশের ১৫ থেকে ২০
শতাংশ চাউল সংরক্ষণ এবং সরবরাহ করে থাকে
আশুগঞ্জ সারা বাংলাদেশের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ চাউল
সংরক্ষণ এবং সরবরাহ করে থাকে
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রুবেল পারভেজ
কার্যকরী সদস্য: নদী নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন
(নোঙর)
Channel-21 News:
বন্দরনগরী আশুগঞ্জ উপজেলার একজন সমাজ ও দেশ সচেতন তরুণ ছাত্রনেতা।
বন্দরনগরী আশুগঞ্জের বিভিন্ন উন্নয়ন নিয়ে অত্র জনপদের সার্বিক উন্নয়নে ৮টি প্রস্তাব
রেখে কাজ করছেন সমাজের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে। উক্ত ৮টি প্রস্তাব সম্পর্কে
চ্যানেল-26 এর সাথে দেওয়া এক স্বাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “প্রাচীনতম ধান চাউল ব্যবসাকে
সকলকেই ঐক্যবদ্ধভাবে বাচিয়ে রাখতে হবে। অন্যতায় এর কেন্দ্রস্থল নষ্ট হলে সারা বাংলাদেশে
চালের দাম বেড়ে যাবে। কারণ আশুগঞ্জ সারা বাংলাদেশের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ চাউল সংরক্ষণ
এবং সরবরাহ করে থাকে। তাই অত্র এলাকা সহ দেশের সার্বিক উন্নয়নে আমাদের ৮টি প্রস্তাবিত
দাবিগুলো হল; (১) আশুগঞ্জ গয়না ঘাঠ (ধানের গাল্লা) সোনারামপুর খালের উপর নির্মিত পানির
পাইপ লাইনের নকশা পরিবর্তন করে ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতা বাড়ানো। (২) বি টাইপ কলোনীর দেওয়াল
প্রাচীরের বাহিরে এলাকাবাসীর স্বার্থে একটি রাস্তা নির্মাণ করে দেওয়া। এটা হউক নদীর
পাড় দিয়ে কিংবা গ্রামের পাশ দিয়ে। যার সুফল পাবে অত্র জনপদের ৬০ থেকে ৭০ হাজার মানুষ।
(৩) বাঁশ বাজারের দুইটি চ্যানেলে ব্রীজ নির্মাণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাণিজ্যিক রাজধানী
বলা চলে ‘আশুগঞ্জ’ এর ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারে বিশেষ অবদান রাখা যা জতীয় অর্থনীতিতে
আরো ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। (৪) স্কুল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে স্থানীয় মেধাবী ছেলে
মেয়েদের ২০/২৫ শতাংশ কোটা নিশ্চিত করা এবং বেতন বৈষম্য দূর করে একটি সমতার অবস্থা বজায়
রাখা। এবং এলাকার বিভিন্ন প্যান্টের কাজের ক্ষেত্রে দক্ষ, অর্ধ দক্ষ এবং অদক্ষ বা যেকোনো
লোকবল নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয়দের উল্লেখিত কোটা নিশ্চিত করা। (৫) পরিবেশকে নিরাপদ
রাখতে যথেষ্ট পরিমাণ বৃক্ষরোপন করতে হবে। (৬) স্থানীয় অবকাঠামো যেমন; স্কুল, কলেজ,
মাদ্রাসা, মসজিদ ইত্যাদি উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে।(৭) আমাদের খারের সাথে সংযুক্ত
উপশাখা অর্থাৎ হ্রদকে বালি ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করায় সোহাগপুরের ফসলি জমির মাঠ
‘গুণারবন’ এর পানি নিষ্কাষনে জলাবদ্ধতা দেখা দেবে ফলে নানামুখী সমস্যায় সৃষ্টি হবে
তাই এর বিকল্প হিসেবে একটি ছোট্ট কৃত্রিম হ্রদ তৈরি করতে হবে। (৮) আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ
কেন্দ্র হতে চরসোনারামপুর বিদ্যুৎ লাইন সাবমেরিন ক্যাবল নদীর তল দেশ দিয়ে সংযুক্ত করার
ক্ষেত্রে কোনোভাবেই আশুগঞ্জ ধানের গাল্লা ব্যবহার করা যাবে না তা আশুগঞ্জের বাঁশ বাজারের
২টি চ্যানেলের মাঝখান দিয়ে অথবা অন্য কোনো স্থান দিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে আমাদের জোর প্রস্তাব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন