আশুগঞ্জ এলএসডি গুডাউনের ব্যাপক অনিয়ম
লক্ষমাত্রা ১১ হাজার মেট্রিক টন অর্জিত ৪৪৯ মেট্রিক টনচ্যানেল-21 নিউজঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ খাদ্য গোদামে সরকারি চাল সংগ্রহের নামে কমিশন বাণিজ্য সহ নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায় ধান চাল সংগ্রহের অন্যতম মোকাম হিসাবে পরিচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ খাদ্য গুদাম। সরকার প্রতি বছর বিপুল পরিমান ধান ও চাল সংগ্রহ করে থাকে এই গুদাম থেকে। বর্তমানে চলছে আমন মৌসুমের চাল সংগ্রহ।
বাংলাদেশে যে কয়টি মৌসুমী খাদ্য শস্য সংগ্রহের গোদাম রয়েছে এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের অন্যতম হল আশুগঞ্জ ধারণ ক্ষমতা ২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন হলেও গুদামটিতে ৩ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য শস্য সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। প্রতি বছর ২টি মৌসুমে সরকারি চাহিদা পুরন করার জন্য মৌসুমী খাদ্য শস্য সংগ্রহ করা হয়। এই দুইটি মৌসুম হল “আমন মৌসুম” এবং “বোরো মৌসুম”। চলতি এবং আগামী এপ্রিল মে মাসের দিকে বরো মৌসুমের খাদ্য শস্য সংগ্রহ করা হবে। কিন্তু গত আমন মৌসুমের খাদ্য শস্য সংগ্রহের মধ্যে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আশুগঞ্জ এলএসডি গুডাউনের তালিকা ভুক্ত মিলার আছে ২১৯টি। এর মধ্যে সরকারের দরপত্র দেওয়ার পর সরকারের সাথে ১১ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য শস্য সরবরাহের জন্য তালিকা ভুক্ত ২১৯টি মিলার থেকে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন ৬০টি মিলার মালিকগণ। কিন্তু বাস্তবে দেখাগেল উক্ত চুক্তিবদ্ধ ৬০টি মিলারের মধ্যে ৪২টি মিলার মালিকরাই চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পরও নির্দিষ্ঠ পরিমান খাদ্য শস্য সরবরাহ করে নাই।
ফলে বাকী ১৮টি মিলার কর্তৃক ১১ হাজার মেট্রিক টন লক্ষ মাত্রার মধ্যে বাস্তবে শুধু মাত্র ৪৪৯ মেট্রিক টন বোরো মৌসুমের খাদ্য শস্য সরবরাহ হয়েছিল। ফলে সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের খাদ্য সরবরাহ মওজুত করতে গিয়ে বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা এবং মিলারদের গাফলতি এবং আইনবিরোধী তৎপরতা এবং চুক্তি ভঙ্গের কারণে আশুগঞ্জ এলএসডি গুডাউনে নির্দিষ্ট পরিমান খাদ্য শস্য মওজুদ হয়নি। ফলে এখন চুক্তি ভঙ্গের দায়ে মিলার মালিকেদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠুর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা চ্যানেল-21 নিউজকে জানালেন আশুগঞ্জ এসলএসডি গুডাউনের ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মঈনুল খায়র এবং এলএসডি গুডাউনের উপ খাদ্য পরিদর্শক মোঃ মফিজুর রহমান।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন