আমাদের কমিটির মেয়াদ তিন বছর।
পার হয়েছে দুই বছর এক মাস
“আমাদের কমিটির মেয়াদ তিন বছর। পার হয়েছে দুই বছর
এক মাস। মেয়াদ থাকতে কমিটি ভাঙ্গার এখতিয়ার কারো নাই। এর জন্য দায়ী হাইব্রীড নেতারা।
হাইব্রীডরা দুঃসময়ে চলে যাবে, সুসময়ে আসবে এটাই স্বাভাবিক”
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোর্শেদ মাষ্টার
সাবেক টানা ১৪ বছরের একজন সফল চেয়ারম্যান
লালপুর ইউনিয়ন পরিষদ
সভাপতি: লালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর ইউনিয়নের
সাবেক চেয়ারম্যান এবং লালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোর্শেদ মাষ্টার। তিনি গত
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে লালপুর ইউনিয়ন পরিষদের
চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এবারও তিনি বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী। আশুগঞ্জ উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির মধ্যকার আহ্বায়কদের
বিভিন্ন প্যানেল ও গ্রুপিং এর কারণে আশুগঞ্জ উপজেলাধীন অন্যান্য ইউনিয়নের মত লালপুর
ইউনিয়নেও আওয়ামী লীগের একাধিক কমিটির সক্রিয় কর্মতৎপরতা রয়েছে। এই বিষয়ে নিজ মতামত
প্রকাশ করতে গিয়ে চ্যানেল-26 এর সাথে দেওয়া এক স্বাক্ষাৎকারে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোর্শেদ
মাষ্টার বলেন, “ আপনারা জানেন এখানে আমাদের কমিটি হওয়ার পর আমাদের কমিটির মেয়াদ যখন
দুই বছর এক মাস তখনই অদৃশ্য একটা ইশারায় আমাদের কমিটিকে ভেঙ্গে দেওয়া হয় এবং নতুন একটি
কমিটি দেওয়া হয়। কিন্তু আমরা যখন উপরের নেতাদের সাথে কথা বলি তখন তারা বলে না তদের
এখন নতুন কোনো কমিটি দেওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। যার ফলে আমাদের কমিটি টিক তাদের কমিটি
অবৈধ্য। কিন্তু তারা এরপরও যেখানে যায় সেখানেই সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয়
দেয়। এটি রাজনৈতিকভাবে একটি সংঘাতের বিষয়। আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠণতন্ত্র মোতাবেক
তিন বৎসরের আগে কোনো কমিটি ভাঙ্গার কোনো এখতিয়ার কারো নাই। কিন্তু যেটা করা হচ্ছে এটা
অবশ্যই নিন্দনিয় কাজ। এখানে কিছু হাইব্রীড যুক্ত হয়েছে আর আশুগঞ্জের যে রাজনীতি তা
হল ব্যবসার রাজনীতি। এখানে সঠিক রাজনীতি নাই। আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি আমাদের মাঝে
ঐক্য আছে, আমরা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সেচ্চাসেবক লীগ আমরা সবাই ঐক্যের মধ্যে
আছি। এখন তাদের কাজে দেখে মনে হচ্ছে আওয়ামী লীগকে তাদের কাছে লীজ দেওয়া হয়েছে। আমরা
আশা করি যারা ভুল পথে রয়েছে তাদের ভুল বাঙ্গবে। আমরা চাই উপজেলায় নতুন কমিটি সুন্দরভাবে
গঠিত হবে। নিয়ম নীতি মোতাবেক কমিটি গঠণ হবে। হাইব্রীডরা দুঃসময়ে চলে যাবে, সুসময়ে আসবে
এটাই স্বাভাবিক। আমি আশা করি জননেত্রী শেখ হাসিনা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী
লীগের একজনকে আশুগঞ্জ-সরাইল আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন দিয়ে অত্র এলাকার উন্নয়নকে সুসংহত
করবেন।”

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন